শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ অপরাহ্ন
ওয়েব ডেস্ক: কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের বিভিন্নস্থান পানিতে ডুবে গেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি বেনাপোল রেলওয়ে নির্মাণ কাজের জন্য বন্দরের পানি নিষ্কাশনের মূল কালভার্টগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, এর ফলেই এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিকরা জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার শ্রমিকদের শান্ত করেন এবং শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) ও পৌর প্রশাসক ডাক্তার কাজী নাজিব হাসান সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।তাৎক্ষণিকভাবে স্কেভেটর দিয়ে কালভার্টের সামনের মাটি কেটে পানি সরানোর কাজ শুরু করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার, সহকারী উপ-পরিচালক কাজী রতন, বেনাপোল স্থলবন্দরের প্রকৌশলী ও উপ-পরিচালক রোকসানা খাতুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী খোরশেদ আলম, স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তবিবুর রহমান তবি, সাধারণ লেবার এবং বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ বন্দরের পানি নিষ্কাশনের কালভার্টগুলো আটকে রেখেছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলে পূর্বের কালভার্টগুলো পুনরায় সচল করার ব্যবস্থা করছি। এই কালভার্টগুলো চালু হলে বন্দরে আর পানি জমবে না এবং হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়ন ৯২৫ এর সাধারণ সম্পাদক সহিদ আলী জানান, ভারি বর্ষার কারণে বন্দরে বিভিন্নস্থানে পানি জমে থাকায় আমাদের শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। একইসাথে পানিতে হাজার হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।